ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ |

EN

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে অবৈধ পণ্যসহ ভারতীয় ট্রাক আটক ৭ দিনেও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ

জাবেদুর রহমান জাবেদ, তেতুলিয়া প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে অবৈধ পণ্যসহ ভারতীয় ট্রাক আটক ৭ দিনেও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ
অবৈধ ভাবে পাচারের সময় এল ইডি লাইট, বেনটনিক মাটি সহ ৬ টি পন্যের একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করেছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর  কতৃপক্ষ। ৭ দিনেও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। গত ১১ সেপ্টেম্বর ট্রাকটি আটক করা হলেও ল্যান্ড পোর্ট কতৃপক্ষ ও কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের মধ্যে দায় টানাটানির কারণে এখনো আইনি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অবৈধ এসব মালামাল নামিয়ে নিয়ে পাথর সহ  ট্রাকটি এখনো আটক রাখা হয়েছে। 

কাষ্টমস ও ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানাযায়, মেসার্স ট্রেড ফেক্টরস নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে পাথর আমদানি করে। এই আমদানির ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এর দায়িত্ব নেয় মেসার্স খান এন্ড সন্স । খান এন্ড সন্সের মূল লাইসেন্সধারী এজেন্ট সুশান্ত দাস হিলি স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালন করলেও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে তার কাস্টমস সরকারের দায়িত্বে আছেন চন্দন দাস। চন্দন দাসের তত্বাবধানে গত রবিবার বেলা ১১ টায় ভারতীয় একটি ট্রাক পাথর নিয়ে স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। ওজনের সময় সন্দেহ হলে ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের একজন সিকিউরিটি গার্ড ট্রাকটিতে তল্লাসি চালান। এসময় তিনি পাথরের ট্রাকের ভেতর ৩ বস্তা গম, ৪ বস্তা ভ'ট্টা, ৪ বস্তা বেনটনিক মাটি, পাইপ কাটার লোহা, এলইডি লাইট ৪ টি এবং ট্রাকের ৩টি ব্যাটারি পান। পরে ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে অবৈধ পন্থায় আনা মালামালগুলো চন্দন দাস ভারত থেকে নিয়ে আসেন। তবে অবৈধভাবে এসব মালামাল আনার দায়িত্ব অস্বীকার করেছেন তিনি । তিনি জানান ট্রাকের ড্রাইভার সুকুমার বর্মন এবং আমদানিকারক ট্রেড ফেক্টরস ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসেন। এর দায় আমার নয়। 

খান এন্ড সন্সের মুল স্বত্বাধিকারী সুশান্ত দাস জানান, সিএনডএফ এজেন্ট এতো ছোট পেশা নয় যে, পাথরের ট্রাকে অবৈধভাবে ৩/৪ বস্তা গম বা ভূট্টা আনবে। তিনি ট্রাক চালককে দায়ি করেন। 

অন্যদিকে ট্রেড ফেক্টরস'র ম্যানেজার সজিব বিন সাঈদ জানান, সিএন্ডএফ এজেন্ট কতৃপক্ষ এই অবৈধ মালামাল নিয়ে এসেছে। আমরা তাদেরকে পাথর আমদানির জন্য ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিং এর দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা এখনো পাথর পাইনি। 

ট্রাকের ড্রাইভার সুকুমার বর্মন জানান, পাথরের ট্রাকে কে বা কাহারা এসব মালামাল রেখেছে আমি জানিনা।  

নাম গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সিএনডএফ এজেন্ট জানান, এর আগে চন্দন দাসের অনৈতিক ব্যবসার কারণে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত হয়েছে। তিনি সবসময় বিকেল ৫ টার পরে স্থলবন্দরে প্রবেশ করে গভীর রাত পর্যন্ত থাকেন। মাদক সহ অন্যান্য অবৈধ ব্যবসায় তার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে

বাংলাবান্ধা স্থল-শুল্ক স্টেশনের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুল হক ফিরোজ জানায়, যেহেতু বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষ মালামালগুলো আটক করেছে তাই তাদেরকেই আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। 

অন্যদিকে বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিঃ ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, অবৈধ মালামাল আমরা কাষ্টমসকে বুঝে দিয়েছি। আইনি ব্যবস্থা তারাই নিবেন।