ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

নিখোঁজ ৭ কলেজছাত্র, মূলহোতা চিকিৎসক শাকির গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২

নিখোঁজ ৭ কলেজছাত্র, মূলহোতা চিকিৎসক শাকির গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় কলেজপড়ুয়া সাত শিক্ষার্থী নিখোঁজের মূলহোতা সদ্য এমবিবিএস পাস করা শাকির বিন ওয়ালী নামে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৩ আগস্ট কলেজছাত্র ইমতিয়াজ আহম্মেদ ওরফে রিফাত (১৭), নিহাল আবদুল্লাহ (১৮), আমিনুল ইসলাম ওরফে আল আমিন (১৮), সরতাজ ইসলাম ওরফে নিলয় (১৭), ইমরান বিন রহমান ওরফে শিথিল (১৮), হাসিবুল ইসলাম আস সামী (১৭) ও ফয়েজ আহমেদ (১৭) একসঙ্গে বাড়ি ছাড়ে। শুরুতে এলাকাবাসী এবং পরিবারের ধারণা ছিল তারা হয়তো তাবলিগে গেছে। কিন্তু খোঁজ না মেলায় পরিবারগুলোর মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

জানা যায়, ইমতিয়াজ আহম্মেদ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি জেলার মুরাদনগরে। তার পরিবার কুমিল্লায় বাস করে। নিহাল আবদুল্লাহ নগরীর অশোকতলা এলাকার বাসিন্দা এবং কুমিল্লা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আমিনুল ইসলাম ওরফে আল আমিন জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বড় আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। সরতাজ ইসলাম ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। ইমরান বিন রহমান ওরফে শিথিল ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র।

স্থানীয়রা জানান, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া এসব শিক্ষার্থী আগে থেকেই ধর্মকর্মে জড়িয়ে পড়ে। কলেজছাত্র হলেও তারা ইসলামি শরিয়া মোতাবেক চলাফেরায় অভ্যস্ত। নিয়মিত তাবলিগ জামায়াতসহ ধর্মীয় নানা আলোচনায় অংশ নিত। তারা এলাকার ছেলেদের সঙ্গে মিশত না।

পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য আবরুর হক আবারারকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালিদকে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসকের মাধ্যমে কুমিল্লার নিখোঁজ সাত কলেজছাত্রকে তাওহিদ ও জিহাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তাদের দুজনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাবাদ চলছে। একই সঙ্গে কুমিল্লার নিখোঁজ ৭ কলেজছাত্রের বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।