ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪ |

EN

ঘিওরের ভাঙন রক্ষায় পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের, ভাঙ্গছে স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২

ঘিওরের ভাঙন রক্ষায় পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের, ভাঙ্গছে স্থাপনা
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গরুর হাট রক্ষায় কাজ শুরু করলেও বসতভিটা রক্ষায় নেই কোনো পদক্ষেপ। মানিকগঞ্জের ইছামতী ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে নিঃস্ব দু’পারের মানুষ।

আগ্রাসী ইছামতী ও ধলেশ্বরী নদী গ্রাস করছে নদীর পারের বসতভিটা, ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমি। হুমকির মুখে রসুলপুর, রামকান্তপুর, কস্তা ও কুসন্ডা গ্রামের রাস্তা-ঘাট, কবরস্থান, শশ্মান, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা।

তবে তীব্র ভাঙনের কবলের গরু হাট রক্ষায় জিও ব্যাগ দিয়ে আপৎকালীন রক্ষায় কাজ শুরু হলেও বসতবাড়ি রক্ষায় নেই তেমন কোনো ব্যবস্থা। এতে বিপাকে নদী পাড়ের মানুষ।

জরিনা বেগম নামের নদী পাড়ের এক বাসিন্দা জানান, ভাঙন আতঙ্কে রাত শেষ করেছি। ঘুমাতে পারছি না। রাতে বাড়ির একটি ঘর ও দুটি গাছ নদীতে চলে গেছে।
অপর বাসিন্দা সালাম মিয়া বলেন, আর কত নিউজ করবেন ভাই। আমাদের জন্য তো কোনো জিও ব্যাগও নাই। আমাদের কি শেষ সহায় সম্বলটুকুও রক্ষা হবে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈল ইসলাম জানান, হাট রক্ষায় আপৎকালীন ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৭৫ কেজি ওজনের ৮ হাজার জিও ব্যাগের কাজ রয়েছে। এছাড়াও বসতবাড়ি রক্ষায় কাজ করার প্রস্ততি চলছে।

হাট রক্ষায় কাজ শুরু হলেও তা মন্থর গতিতে চলায় এখনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে, হাট রক্ষা কাজের গতিসহ বসতভিটা রক্ষার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হাট কমিটির সভাপতি হামিদুর রহমান আলাই।

মানিকগঞ্জের ঘিওরের ইছামতী ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে গতি ৮ দিনে ১৭টি বসতভিটা ও ঘিওর গরুর হাটের চারটি ইজারা ঘরসহ ২০ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।