ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ |

EN

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মামুন খান (৩৩) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নড়িয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তি নড়িয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাড়ৈইপাড়া গ্রামের সালাম খানের ছেলে মামুন খান (৩৩)। তিনি নড়িয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

নিহতর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গেল পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে নড়িয়ার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকলেছ ব্যাপারী সঙ্গে মামুন খানের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। সেই জেরে মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার পথে নড়িয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পাশে একা পেয়ে মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে নড়িয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মামুনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার ও মামা আনোয়ার হোসেন মল্লিক বলেন, মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন মাদক বিক্রি ও সেবন করে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে সে ও তার লোকজন। এ হত্যার বিচার চাই।

অভিযুক্ত মোকলেছ ব্যাপারী মুঠোফোন জানান, এলাকায় সমস্যা হয়েছে কি না, আমি জানতাম না। আমি বাংলা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বেসরকারি আধুনিক হাসপাতালের সামনে লোকজনের ভিড় দেখে ওখানে নেমে কী হয়েছে জানতে যাই। তখন ওদের লোকজন আমার ওপরে হামলা করে। পরে জানতে পারলাম সন্ধ্যায় মামুন খানের ওপরে কারা হামলা করেছে এবং মামুনকে মেরে ফেলেছে।

তিনি আরও জানান, মাদকের বিষয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা মিথ্যা। আমি তো এলাকায়ই ছিলাম না। ঘটনার পরপরই ওদের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপরে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি, প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন কয়েকজনকে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।