ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ |

EN

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সার্টিফিকেট বাণিজ্যে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স  সার্টিফিকেট বাণিজ্যে
অভিযোগ ওঠেছে স্বাস্থসহকারী আবদুর রহমানের আপন ভাই রায়হানের বিরুদ্ধে। গত রোববার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সর ঘটনায় মানুষের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। 

ভুক্তভোগী আজাদ জানান, আমি একটি  মারাত্মক জখম সার্টিফিকেটের জন্য  হাসপাতাল আসলে আবদুর রহমানের নির্দেশে তার ভাইয়ের কাছে যাই।  তার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে আমি তাকে  তার ধার্যকৃত  মোটা অংকের টাকা  পরিশোধ করি। পরে তার দেয়া নির্ধারিত তারিখে  হাসপাতালে আসলে আমাকে তিনি সাটিফিকেট  দিচ্ছেন না।  আমার প্রতিপক্ষ থেকে আরও বেশি টাকা নিয়ে তাকে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন জানান আজাদ। ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি আরও বলেন আবদুর রহমান ও তার ভাইয়ের কাছে পুরো হাসপাতাল জিম্বী। 

হাসপাতালের ওপেন-গোপন সকল কাজই তাদের দুজনের ইশারায় চলে। সরকারী হাসপাতাল যেন চলে তাদের দুভাইয়ের নিয়মে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মালেকের স্ট্যাইলকেও তারা হার মানায়। তারা কর্মকর্তাদের  তেল মারা ব্যবহার দেখিয়ে সকল সুযোগ সুবিধা  লুটে নিচ্ছেন।  দীর্ঘদিন একই হাসপাতালে থেকে  রোগীদের নানা অজুহতে  টাকা নিচ্ছেন তারা। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতে গিয়ে ডানহাতে-বামহাতে ভুয়া বিল ভাউচারে স্বাক্ষর করে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেন। আবদুর রহমানকে  বদলি করা না হলে এটি একটি পারিবারিক হাসপাতাল হওয়ার আশঙ্কা করেন স্থানীয়রা। কর্মকর্তার দুর্বল নজরদারি থাকায়  দু সহোদরের কাছে অনিয়ম যেন ডাল-ভাতে পরিণত হয়েছে।  কর্মকর্তা থেকে সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে দুই ভাই হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী। অতিদ্রত আবদুর রহমান ও তার ভাইকে বদলি করা না হলে হাসপাতালমুখী মানুষ প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এমনটাই দাবি স্থানীয় মানুষের। 

 এব্যাপারে আবদুর রহমান  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার ভাইয়ের বিষয়টি আমরা দ্রুত সমাধা করার চেষ্ট করছি। 

রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডাঃ কামনাশিষ মজুমদার বলেন,  আমরা সরকারি নিয়মে অফিস চালিয়ে যাচ্ছি।  আমাদের স্টাফ রায়হানের  বিষয়টি শুনেছি।এবিষয় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা  নেওয়া হবে। 

এই হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী। অতিদ্রত আবদুর রহমান ও তার ভাইকে বদলি করা না হলে হাসপাতালমুখী মানুষ প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এমনটাই দাবি স্থানীয় মানুষের। 

এব্যাপারে আবদুর রহমান  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার ভাইয়ের বিষয়টি আমরা দ্রত সমাধা করার চেষ্ট করছি। 

রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডাঃ কামনাশিষ মজুমদার বলেন,  আমরা সরকারি নিয়মে অফিস চালিয়ে যাচ্ছি।  আমাদের স্টাফ রায়হানের  বিষয়টি শুনেছি।এবিষয় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা  নেওয়া হবে।