ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

গভীর রাতে ব্রিজ ঢালাই, অনিয়মের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ৯, ২০২২

গভীর রাতে ব্রিজ ঢালাই, অনিয়মের অভিযোগ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জাইকা প্রকল্পের একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের শুরুতেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার ও রাতের আঁধারে ঢালাই ও তদারকি কর্তৃপক্ষ এলজিইডির অবহেলাসহ নানা অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, মির্জাগঞ্জ ও বেতাগী উপজেলার সংযোগস্থল দেউলী সুবিদখালী থেকে জলিশাবাজার সংলগ্ন বেড়েরধন নদীর ওপর ২০২১-২২ অর্থবছরে জাইকার অর্থায়নে টেন্ডার আহবান করা হয়। ৬ কোটি ৩২লাখ ৯৩ হাজার ৪৩৭ টাকার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কাজটি পান এনায়েত হোসেন নামের পটুয়াখালীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার সত্তাধিকারী মো. এনায়েত হোসেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বালু সিমেন্ট ও পাথর, খোয়ার রেশিওতে ব্যাপক গড়মিল। পাথর খোয়ার সঙ্গে কাদার মিশ্রণ এমনকি বালুতেও কাঁদাবালুর মিশ্রণ রয়েছে। আর এসব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই মির্জাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির দায়িত্বরত প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে রোববার গভীর রাতে ঢালাইয়ের কাজসহ নির্মাণকাজ করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি কাজ তদারকিতে থাকা মির্জাগঞ্জ এলজিইডির দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রকোৗশলীকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, কাজের শুরুতেই  নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী পাথর, মরিচা ধরা রড, কাঁদা মিশ্রিত বালু দিয়ে রাত বারোটায় ব্রিজের পাইলের ঢালাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সঠিকভাবে সিমেন্ট,বালু,পাথর মিশ্রণ করা হচ্ছে না বলে জানান এলাকাবাসী। 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মো. এনায়েত হোসেন বলেন, আপনি অফিসে আলাপ করেন। আমাদের কাজে কোনো সমস্যা নেই। আমরা রাতে না দিনে ঢালাইয়ের কাজ করব তা কোনো সাংবাদিককে বলতে বাধ্য না। এটি দেখার জন্য অফিস আছে।

এ বিষয় মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আসিকুর রহমান বলেন, ব্রিজ নির্মাণের মালামাল নিম্নমানের মনে হচ্ছে না। তবে ঢালাইয়ের কাজ করতে গিয়ে গভীররাত হয়ে গেছিল, এরপরে দিনেই কাজ করানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস জানান, ব্রিজটির কাজের ব্যাপারে আমাকে এলজিইডি থেকে কোনো অবহিত করা হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে। 

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।