ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

দিনাজপুরের যৌতুকের কারণে

গৃহবধুকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দিলেন স্বামী, গ্রেফতার ৩

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ৭, ২০২২

গৃহবধুকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দিলেন স্বামী, গ্রেফতার ৩
যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে যৌতুক লোভী স্বামী মজিবর রহমান। শনিবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১০ নং রানীপুকুর ইউপির কাজীপাড়া  বিলাইমারী গ্রামে। স্বামীর বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার এক সন্তানের মা রেশমা খাতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছেন। পরে গৃহবধূ রেশমা বেগম স্বামী ,শ্বাশুড়ী , শ্বশুড় এর ব্রিুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।  মামলার পর স্বামী মজিবরসহ শ্বশুড় শ্বাশুড়ীকে গ্রেফতার করে বিরল থানা পুলিশ।।

জানা যায়, বিগত ৮ বছর পর্বে গাইবান্ধা জেলার মৃতঃ আসমত আলীর কন্যা রেশমা খাতুন (২৫) এর সাথে কাজিপাড়া বিলাইমারী গ্রামের হাসেম আলীর পুত্র মজিবর রহমান (৩৫) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী মজিবর যৌতুকের জন্য স্ত্রী রেশমা খাতুনকে নির্যাতন করতো। স্ত্রী রেশমা নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রথম পর্যায়ে অসহায় বাবার পরিবারের কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেন। এরই মধ্যে তাদের সংসারে ১টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মুনতাহা নামের কণ্যা সন্তানের বর্তমানে বয়স ৬ বছর। কিছু দিন সংসারে সুখ-শান্তি থাকলেও যৌতুক লোভী স্বামী মজিবর পুণরায় যৌতুকের জন্য আবারো অত্যাচার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্ত্রী রেশমা নির্যাতন শহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যান। দির্ঘ দিন বাবার বাড়ী থাকার পর গত কয়েক দিন আগে স্বামী ও শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী  ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের আশসে আবারো স্বামীর বাড়ীতে আসলে কয়েক দিন ভালো ভাবে কাটলেও গত শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে স্বামী মজিবর আরো ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে স্ত্রী রেশমার উপর নির্যাতন চালায়। 

নির্যাতিতা গৃহবধু রেশমা খাতুন জানান, শনিবার রাত ১ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী  মিলে আমার উপর নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে আমার হাত-পা ও মুখে কাপড় বেধে মাথার চুল ন্যাড়া করে  দেয়। সকালের দিকে গ্রামের লোক জন বিষয়টি জানতে পেরে রেশমাকে উদ্ধার করে বিরল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আসঙ্খা জনক। নির্যাতিতা গৃহবধু রেশমা খাতুন তার সাথে এ ধরণের ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী জানান।

বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা  ডা. মোহাম্মদ আবদুল মোকাদ্দেস জানান, রেশমা খাতুন নামের এক গৃহবধু নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা হাসপাতাল কর্তপক্ষ তার সুষ্ঠ চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।

বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি। হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখে আসা হয়েছে। পরিবারের লোক জনের সাথে যোগাযোগ হয়েছে।  আজ দুপুরে গৃহবধূ রেশমা বেগম স্বামী ,শ্বাশুড়ী , শ্বশুড় এর ব্রিুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।  মামলার পর স্বামী মজিবরসহ শ্বশুড় শ্বাশুড়ীকে গ্রেফতার করে বিরল থানা পুলিশ।