ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

ফজলে রাব্বীর আসনে কে পাচ্ছেন নৌকার টিকিট?

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ৭, ২০২২

ফজলে রাব্বীর আসনে কে পাচ্ছেন নৌকার টিকিট?
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) সংসদীয় আসনে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছে। এরই মধ্যে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ আসনে কে হচ্ছেন ফজলে রাব্বী মিয়ার উত্তরসূরী তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা সর্বমহলে। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন উপর মহলে। এছাড়া দলীয় ও স্থানীয় সমর্থন পেতে ছুটছেন নেতাকর্মীদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, চায়ের দোকানে চালাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। সবখানে একই আলোচনা কে হচ্ছেন ফজলে রাব্বী মিয়ার উত্তরসূরী।

স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও সর্বস্তরের মানুষের জল্পনা-কল্পনা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের আলোচনা সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন ৪ জন। তারা হলেন সদ্য প্রয়াত এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী যিনি ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। অপর তিন জন হলেন- ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি. এম সেলিম পারভেজ। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুশীল চন্দ্র সরকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারজানা রাব্বী বুবলী ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তার স্বামী বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার। ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে হিসেবে তিনি বাবার উত্তরাধিকার সূত্রে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এ আসনে বর্তমান তাকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হলে জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সম্ভাবনা দৃশ্যমান হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারগণ।

এদিকে এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে আরো যাদের নাম শোনা যাচ্ছে জি. এম সেলিম পারভেজ ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই বার সাধারণ সম্পাদক ও দ্বিতীয় বারের মতো ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুশীল চন্দ্র সরকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে দীর্ঘ দিন হলো নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

জানতে চাইলে ফারজানা রাব্বী বুবলী বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন এই এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে উন্নয়ন করে আসছে। উপনির্বাচনে নির্বাচিত হলে বাবার স্মৃতিকে ধরে রাখতে এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখবো।

তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে অবদান যে রেখেছে আমার বাবা সেটা অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এই এলাকার অতীতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব। তৃলমূল সংগঠন থেকে উঠে এসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের সংসদীয় গাইবান্ধা-৫ আসনের ৭ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি গত ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় ২৩ জুলাই রাত ২টায়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা মাতা, স্ত্রী, সন্তান নাতির কবরের পাশে কবরস্থ করা হয়।