ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

টঙ্গীতে রেলগেটের গা ঘেঁষে লালসালুর ডেক ফেলে টাকা উত্তোলন

টঙ্গী, গাজীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, আগস্ট ৫, ২০২২

টঙ্গীতে রেলগেটের গা ঘেঁষে লালসালুর ডেক ফেলে টাকা উত্তোলন
টঙ্গির ষ্টেশন রোড এর রেলগেট এর পরেই সিলমুন ক্যাথারসিস হাসপাতাল পারহলেই নিমতলি রেলগেট। এই রেলগেটের গা ঘেষেই বসানো হয়েছে লালসালু পেচানো বাবারডেক। চলন্তগাড়ি থেকে টাকা আদায় করছে মুখোশধারি ব্যক্তি। 

সারাদেশ যখন রেলের দূর্নীতি ও গেটম্যানদের দায়িত্বহীনতানিয়ে সোচ্চার ঠিক সেই মুহুর্তে নিমতলির গেটে এই ডেক বসানোই প্রমান করে রেলগেট কতটা নিরাপত্তাহীন।

চলন্ত যানবাহনের ড্রাইভারদেরকে ইশারা করা হচ্ছে ডেকে টাকা ফেলানোর জন্য। একটির পর একটি অটোরিকসা থেকে টাকা উত্তোলন করছে মুখোশ পড়া এক ব্যক্তি।

ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন বাবার নামে সিন্নির আয়োজন করতেই টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে, যার যা ইচ্ছে তা দিয়েই হেল্প করতেছে।

এভাবে রেলের রাস্তার সাথে গা ঘেষে ডেক বসানোর কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে মুখোশ ধারী চাদাবাজ লোকটি বলেন এখানে আবার কার অনুমতি নিতে হবে। যারা অনুমতি দিবে তারাইতো এই টাকার ভাগ পায়। 

রেলক্রসিং এর গা ঘেষে টাকা উত্তোলন করার সময় দেখা যায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য গেটম্যানদের রুমের পেছনে বসে আড্ডা দিচ্ছে। 

রেলগেটের পাশেই চা দোকানদার সিরাজুল কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এই রেলগেটের অনেক বদনাম, কিছুদিন আগে কে বা কারা একটি লাশ এনে ফেলে রাখে পরে শুনছি পুলিশ খুনিদের গ্রেফতার করেছে। এখন আবার বাবারডেক বসিয়ে টাকা তুলতেছে কিন্তু এরা কারা আমার জানা নাই।

ব্যস্ত এই রেলগেট টঙ্গীর ষ্টেশন এর পরেই অবস্থান। এই রেলগেটের উপর দিয়েই মিরের বাজার হয়ে নারায়ণগঞ্জ বা সিলেটগামী পরিবহন চলাচল করে এছাড়াও পুবাইল হয়ে কালিগঞ্জ টু ঘোড়াশাল এর সকল পরিবহন এই রেলগেট হয়েই আসা যাওয়া করে থাকে।বিশ্বরোডের সাথে এর সংযোগ থাকায় বর্তমানে এই রোডটি গাজিপুরের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন রোড। 

অভিযোগ আছে এই রেলগেটের আগে ও পড়ে গভীর রাতে ছিনতাই হয়। আছে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়িদের আনাগোনা। 

স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন রেলগেটের গা ঘেষে ডেক বসিয়ে টাকা উত্তোলন এই প্রথম দেখলাম।যেভাবে চলন্তগাড়িকে ইশারা করা হচ্ছে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।

 লালসালু পেচিয়ে ডেকফেলে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে গেটম্যানদের সাথে কথা  বলতে চাইলে তারা কথা বলতে পারবে না বলে জানায়। সন্ধ্যার পর এই রাস্তা নিরব হয়ে যাওয়ায় ভয়ে মানুষ একা চলাচল করার সাহস পায় না। মাদক ব্যবসায়ি ও মাদকসেবিদের প্রিয় জায়গা এখন নিমতলির রেলগেট।