ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

পরকীয়া প্রেমে ভাতিজার বউ নিয়ে চাচা উধাও

হাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৪, ২০২২

পরকীয়া প্রেমে ভাতিজার বউ নিয়ে চাচা উধাও
ভাতিজা ঢাকায় চাকুরি করেন, বউ বাড়িতে একাই থাকেন, দেখতে খুবই সুন্দরী ও সুঠাম দেহের অধিকারী। রূপে মত্ত হয় চাচা। ভাতিজা বাড়িতে না থাকায় ভাতিজার বউয়ের সাথে গড়ে উঠে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক। ভাজিতার বউ নিয়ে উধাও হয়ে গেছে চাচা।

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের উত্তরপাড়ায় । চাচা এক সন্তানের জনক। চাচা প্রয়াত সামেশ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫)। ওই গৃহবধূরও রয়েছে ৬ বছরের এক ছেলে সন্তান। এলাকায় এ নিয়ে বেশ চাঞ্চ্যলের সৃষ্টি হয়েছে।

পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূকে রেখে তাঁর স্বামী ঢাকায় চাকুরি করে। বিয়ে করেছে প্রায় ৭/৮ বছর আগে। চাচা মিজানুর রহমানের বাড়িতেই মুরগীর খামার রয়েছে। সেও বিয়ে করে দুইটি। ভাতিজার বউ (২৫) সুন্দরী ও সুঠাম দেহের অধিকারী হওয়ায় প্রথম থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শুরু হয় পরকীয়া প্রেম। পরকীয়ার ঘটনা প্রথম স্ত্রী জেনে গেলে মিজান কে তালাক দিয়ে তিনি চলে যান বাবার বাড়ীতে। আবার দ্বিতীয় বিয়ে করলে সে বউও চলে যায় এ পরকীয়ার কারণে। 

এদিকে ওই গৃহবধূর মা-বাবাকেউ বিষয়গুলো জানানো হয় স্বামীর পরিবার থেকে। গত সোমবার (১ জুলাই) রাতে মুরগীর খামারে দুজনকেই আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পরিবারের লোকজন ও তার স্বামী আনোয়ার। এ পরিপ্রেক্ষিতে মিজান গৃহবধূকে বিয়ে করতে ঘটনাস্থলে কাজী ডাকেন। কাজী বিয়ে পড়াতে অসম্মতি জানিয়ে চলে যায়। ঘটনাটি এলাকায়  জানাজানি হলে খামার ফেলে গত বুধবার (৩ জুলাই) সকালে মিজান ওই গুহবধূকে নিয়ে উধাও হয়। 
 
‘ওই গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার আপন চাচা মিজান আমাকে সব সময় ঢাকাতে চাকরি করার বুদ্ধি দিতো ও খুব ভালো সর্ম্পক তৈরী করে আমার সাথে। আমার সাথে ভালো সর্ম্পক তৈরী করে আবার ঐ দিকে আমি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে আমার সুন্দুরী স্ত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সর্ম্পক করে আসছে।গত সোমবার (১ জুলাই) রাতে মুরগীর খামারে দুজনকেই আপত্তিকর অবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন তাদের দুইজন কে হাতে নাতে ধরে ফেলি। পরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য আমাকে আমার বউর পরকীয়া প্রেমিক আমার আপন ছোট চাচা মিজান আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। তারা দুজনেই দুপুরে বাড়ী থেকে পালিয়েছে। বলে আর কোন কিছুই বলেননি। তবে এ ঘটনা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও তিনি জানিয়েছেন।’  

স্থানীয় কাজী মুকুল হোসেন বলেন, ‘ওই রাতের ঘটনাতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। অপরাধমূলক কর্মকান্ড দেখে চলে এসেছি।’

এ বিষয়ে চাচা মিজানুর রহমানের মোবাইল নম্বরে (০১৯১৮৫৩২২৪৬) একধিকবার চেষ্ট করা হলে তাকে পাওয়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার ফটিক বলেন, ‘আমি ঘটনাটি জেনেছি। এলাকাতে খুবই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা।’