ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ |

EN

সংকটে আওয়ামী লীগ, পাশে নেই ১৪ দলীয় জোট শরিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৪, ২০২২

সংকটে আওয়ামী লীগ, পাশে নেই ১৪ দলীয় জোট শরিকরা
গোঠা বিশ্ব এখন এক ধরনের অস্থির সময় পার করছে। রাজনীতি ও অর্থনীতি দুই ধরনের অস্থিরতাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সংকট, ডলার বাজারের অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, বৈদেশিক রিভার্জ কমে যাওয়া, মূল্যস্ফীতিসহ বেশ কিছু সংকট চলছে বাংলাদেশে। সংকট মোকাবিলায় সরকার লোডশেডিং দিচ্ছে এবং ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। বিশ্বব্যাপীই এমন পরিস্থিতি। তবে দেশের এমন সংকটের জন্য অর্থনীতি বিশ্লেষকরা সরকারের ভুলনীতির কথা বলছেন। আর বিএনপি এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। অন্যদিকে গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনা হচ্ছে বর্তমান সংকটের পরিস্থিতি নিয়ে। বিএনপিও এখন সংকটকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অথচ আওয়ামী লীগের সে তৎপরতা নেই।

রাজনৈতিক কিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান সংকট মোকাবেলায় শুরু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সে ধরনের কোনো উদ্যোগ নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছু কর্মসূচি থাকলেও সঙ্গে নেই ১৪ দলীয় জোট শরিকরা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নিজেদের জোট সম্প্রসারণের কাজ করেছে। কিন্তু ছন্দে নেই ১৪ দলীয় জোট। বর্তমান সংকটে আওয়ামী লীগ অনেকটা একা হয়ে পড়েছে।

তবে এমন পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর জন্য তারা সম্ভাব্য দুটি কারন উল্লেখ করছেন। তারা বলছেন ভোট বাড়ানোর চেষ্টায় ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের বাম ও প্রগতিশীল দলগুলোর বিরোধ রয়েছে। ফলে এই শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দূরত্ব রাখতে হচ্ছে। আরেকটি কারণ হলো, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ দেশ চালাতে গিয়ে প্রশাসননির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলো অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। যেকোনো সংকট মোকাবিলায় রাজনৈতিক উদ্যোগের চেয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আমলানির্ভর হচ্ছে বেশি।

আবার এর ভিন্ন মতও প্রকাশ করছেন কোনো কোনো মহল। তারা বলছেন, ১৪ দল জোটের দূরত্ব নতুন কিছু নয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভায় শরীকদের না রাখার কারণে শরিকরা মনক্ষুন্ন হয়ে নিজেরাই কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখছে। পাশাপাশি ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকেও দায়ী করছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম যেকোনো সংকটের সময় শরিকদের নিয়ে বসতেন, শলা-পরার্মশ করতেন। মাঠে শরিকদের নিয়ে কর্মসূচি করতেন কিন্তু এখন এর কোনটাই হচ্ছে না। ১৪ দল নিয়ে মোহাম্মদ নাসিমের মতো আমির হোসেন আমু সক্রিয় নয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে শরিকদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের এই জোট প্রয়োজনে ঠিকই আগের মতো সক্রিয় হবে।