ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
ফোনে
আড়িপাতা যেমন ঠিক না, তেমনি এ নিয়ে মিডিয়া যেভাবে প্রচার করে, তা-ও ঠিক না। এসব বিষয়ে
সবার সজাগ থাকা দরকার। আড়িপাতা প্রতিরোধ ও ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনায় কমিটি গঠন করে
তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানির সময় এ কথা বলেন হাইকোর্ট।
আজ
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে
রিটের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
শুনানিকালে
আদালত বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা একটি বিষয়। আর ব্যক্তিগত বিষয়ে আড়িপাতা আরেকটি দিক। কেউ
না কেউ আড়ি পেতেছে, রেকর্ড করেছে। কে রেকর্ড করেছে—তা চিহ্নিত করার বিষয় আছে। এখন তৃতীয়
ব্যক্তি যদি রেকর্ড করে বিভিন্ন মিডিয়ায় দেয়, আর মিডিয়া যদি সেটি প্রচার করে, সেখানে
মিডিয়ার কিন্তু ভূমিকা আছে। বলা হয়, মিডিয়ায় পাবলিকলি চলে যায়, ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত
করে, এটি ঠিক।
আড়িপাতা
প্রতিরোধ ও ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ২০টির বেশি ঘটনায় কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশনা
চেয়ে গত ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী ওই রিট করেন।
আদালতে
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি
জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
শুনানিতে
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আড়িপাতা ও ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এসব
রোধে বিটিআরসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। ঘটনাগুলোর তদন্ত চাওয়া হয়েছে।
বেআইনিভাবে কারা এসব করছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।
অন্যদিকে
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, রিটকারীরা কেউ ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হননি। আইন অনুসারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ আছে। তিনি মামলা করতে
পারেন। বিটিআরসির কাছে তাঁর অভিযোগ করার সুযোগ আছে। এখানে সুনির্দিষ্ট বিকল্প প্রতিকারের
ব্যবস্থা আছে। আর বিকল্প প্রতিকার থাকলে সে ক্ষেত্রে রিট চলে না। রিট আবেদনকারীদের
কেউই সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। তাঁদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়নি। তাই রিট গ্রহণযোগ্য নয়।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য সমর্থন করে শুনানিতে অংশ নেন বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার
রেজা–ই–রাকিব।