ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

তাড়াশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

উপজেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, জুলাই ৮, ২০২২

তাড়াশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
ঈদের আর মাত্র দুদিন বাকী। আর শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাটগুলো। এবছর কোরবানীর হাটগুলোতে ছোট আকার গরু দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। মাঝারি আকারের গরু ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। ছোট খাসির দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ২০ টাকা এবং মাঝারি আকার খাসি দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।

বৃৃহস্পতিবার উপজেলার নওগাঁ হাটে গিয়ে দেখা গেছে, তুলনামাপকভাবে প্রচুর পরিমান গরু, ছাগল ও ভেড়া উঠছে হাটে। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারাও খুশি। সুন্দর পরিবেশ ও হাটের ইজারাদাররা পরিবেশ রেখেছেন সুন্দর। 

গরু বিক্রেতা আতিকুল ইসলাম জানান, তিনি গত ছয় মাস আগে বিক্রির উদ্দেশে দুটি ষাঁড় কিনে লালন-পালন করে, এ ঈদে বিক্রি করবেন। এ হাটে একটি ষাঁড় তিনি বিক্রি করছেন ১ লাখ ৫ হাজার আর একটি বিক্রি করছেন ৮৫ হাজার টাকা। এতে তার বেইশ কিছুটা লাভ হয়েছে। তবে এ বছর গো-খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়াতে তার লাভ অংকটা একটু কম হয়েছে।

তাড়াশ পৌর হাটে আসা বিক্রেতা নাসির উদ্দিন জানান, এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করতে অনেক টাকা খরচ করেছি। তাই হাটে দামও একটু বেশি রয়েছে। তবে গরুর দাম দেড় লাখ চাইলে ক্রেতারা বলেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার, এক লাখ টাকা চাইলে বলেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার। এই দামে গরু বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।

নাটোর থেকে আসা খামারী মালিক কাওসার আলী জানান, ঘাস খড়ের পাশাপাশি খৈল, কুড়া, ভূষি প্রভৃতি খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় পশু লালন পালন করতে একটু বেশি খরচ হয়েছে তাই পশুর দাম তুলনামূলক বাজারে বেশি। তাছাড়া এবার ভারতীয় গরুর চাপ না থাকায় স্থানীয় বাজার থেকে একটু বেশি দামে কোরবানির পশু কিনতে হচ্ছে। এ দিকে পশুর হাটগুলোতে থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিটা হাট বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে। হাটে কোন অসুস্থ গরু কেউ যেন বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া উপজেলার  ৮টি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শত ৫ জন খামারি মোট ৭৬ হাজার ৮শ’ ৭২টি গবাদি পশু কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পশুর চাহিদা রয়েছে ৫০ হাজার ১শ’ ১৫টি। কোরবানীর পশুর মধ্যে ষাড় গরু ৯হাজার ৯শত ৮০টি, বলদ ৫হাজার ৭শত ৫০টি, গাভী ১হাজার ৯শত ৯০টি, মহিষ ৯শত ৩০টি, ছাগল ৫১,০৫৬টি এবং ভেড়া ৭শত ১শত ৬৬টি।