ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪ |

EN

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, জুন ১৪, ২০২২

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল
সোমবার (১৪ জুন) সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,  উজানের পাহাড়ি  ঢল ও কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্রসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজিবপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এদিকে সীমান্ত ঘেঁষা জিঞ্জিরাম নদী দিয়ে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, টানা বৃষ্টি ও বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার ডিসি রাস্তার পূর্বাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে রাজিবপুর আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার চরাঞ্চরের মদনেরচর, ফাটকপাড়া, বদরপুর, বাউলপাড়া, চরসাজাই, পাখিউড়া, পাইকান্টারী, শংকরমাধবপুর, মন্ডলপাড়া,  চরনেয়াজি, নাওশালা, বড়বেড়, কিতনটারী, ভেলামারী, শিকারপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। ঐসব এলাকার মানুষজন এখন গবাদি পশু নিয়ে মহাবিপদের মধ্যে রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে নৌকা আর ভেলা দিয়ে পারাপার হচ্ছে তারা।

রাজিবপুর ইউনিয়নের চাষি লুতফর, মকবুল ও শাহআলম দুঃখ করে জানান, ভারতে আসামে বৃষ্টি  হলেই পানি এই জিঞ্জিরাম নদী দিয়ে নামে। আর এতে আমাদের সীমান্তের গ্রামগুলো তলিয়ে যায়। এসময়ে আমাদের বিপদের সীমা থাকে না। খেতের শাকসবজি, পাট নষ্ট হয়ে যায় এবং পুরুরের মাছ বেরিয়ে চলে যায়।

কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু জানান, আকস্মিক বন্যায় চরের লোকজনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখানকার দিন মজুররা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের সন্তানদের নিয়ে অনেকেই অর্ধাহারে আছে। এদিকে সরকারি-বেসরকারি ভাবে কোনো ত্রাণ এখনো এ চরে আসেনি। শুকনো খাবারের প্রয়োজন।

রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুর ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের পানি নেমে আসায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ পানি তাড়াতাড়ি নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।

রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  বন্যার জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ আমাদের রয়েছে।