ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ |

EN

মামুন গাজী'র খুঁটির জোর কোথায় রাঙ্গাবালীতে মাদ্রাসার জমি দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, জুন ১২, ২০২২

মামুন গাজী'র খুঁটির জোর কোথায়  রাঙ্গাবালীতে মাদ্রাসার জমি দখল
অনুসন্ধানে জানা যায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাববুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার জমি দখল করে গরুর গোয়াল ঘর করার  অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে । তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সরকার দলীয় লোক হওয়ায় সর্বত্রই  প্রভাব খাটান। 
জানা যায় আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মামুন গাজীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আরো আছে বলে স্হানীয়রা জানান।

মাদ্রাসা সূত্রে তথ্য অনুসন্ধানে  জানা গেছে, মাদ্রাসার সুপারের অবহেলায় এবং যোগসাজসে মাদ্রাসা সম্পত্তিতে মাদ্রাসার ছাত্রীদের জন্য নির্মিত টয়লেট ও টিউবওয়েল এর মধ্যবর্তী জায়গায় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মামুন গাজী গরুর ঘর, কুটার কুর নির্মাণ করেছে ।

বর্তমানে মাদ্রাসার জন্য বাউন্ডারি ওয়াল এবং ৪ তলা একটি ভবন অনুমোদন হইলেও মামুন গাজী উক্ত বাউন্ডারি ওয়াল নির্মানে বাধা সৃষ্টি করতেছে এবং মাদ্রাসার সুপার মাদ্রসার নামে ১ একর জমির দলিল থাকলেও মামুন গাজীর অবৈধ দখলের সাপোর্ট করে মাদ্রাসার মালিকানাধীন মামুন গাজীর অবৈধ দখলে থাকা ৩৩ শতাংশ জমি বাদ দিয়েই শুধুমাত্র ৫৮ শতাংশ জমির মধ্যে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। 

এব্যপারে এলাকাবাসি রাংগাবালী থানায় বহুবার অভিযোগ দেয়া হইলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নাই তার ক্ষমতার দাপটে। গত ১৯/০৫/২০২২ ইং তারিখ উক্ত ব্যাপার নিয়া রাংগাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে মাদ্রাসার জমি রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করা হইলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বড়বাইশদিয়া ইউ.পি তহসিলদার জনাব সাইফুল ইসলামের বরাবরে তদন্তের ভার অর্প্ন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক অভিভাবক এ বিষয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। 

এই দখল দারির বিষয়ে অভিযুক্ত মামুন গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার ভবন মাদ্রাসার জায়গা জমিতে উঠাবে। আমি গরু ঘর উঠাইছি, কুটার কুর দিয়েছি আমার জাগায়। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার তদন্ত করেছে তদন্ত রিপোর্ট আমার পক্ষে জমি আমার দখলে । আমি আর কিছু বলতে পারবোনা আপনাদের এতকিছু জানার ইচ্ছা থাকলে এখানে এসে জানেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইলিয়াস মামুন গাজীর সঠিক তথ্য দিতে নারাজ। তিনি ভয়ে ভয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, জমিজমা নিয়া মামুন গাজীর সাথে বিরোধ আছে ঠিকই,, সেই ব্যাপারে মাপজোক চলছে,, মাপার পরে জানা যাইবে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা সহকারি কর্মকর্তা অনাদি কুমার বাহাদুর বলেন, ‘সরকারি  নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমিতে কোনো ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’