ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ |

EN

স্কুলে শিক্ষকের ধানের গোডাউন

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, মে ২৩, ২০২২

স্কুলে শিক্ষকের ধানের গোডাউন

রংপুর সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ধানের গোডাউন হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও ওই বিদ্যালয়ে একইভাবে পেঁয়াজের স্তুপ করে রাখা হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।


সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধান মজুতের এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রেণিকক্ষে বোরো ধান গোডাউনজাত করে সমালোচনায় এসেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজমুল হক।

উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক মজমুল হক। বৈরি আবহাওয়ার কারণে ধান সংরক্ষণে শ্রেণিকক্ষটি ব্যবহার করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।


স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক মজমুল হক তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের মাঠে খড়ের স্তুপ করার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে ধান, পাট ও ভুট্টা গুদামজাত করে বিক্রি করে আসছেন। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বারান্দায় গরু-ছাগল পালন করেন। এলাকাবাসী এতে আপত্তি জানালে প্রধান শিক্ষক মজমুল হক ক্ষুদ্ধ হয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।

এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, তাদের বসার বেঞ্চগুলো সরিয়ে রেখে কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে ধান গোডাউনজাত করেছেন। এতে করে মেঝেতে বসে তাদের পাঠদান হচ্ছে। স্যারের ভয়ে আমরা ধান রাখার বিষয়টি কাউকে বলিনি।


শ্রেণিকক্ষে ধান মজুত রাখায় স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি ওয়ারেস আলী বলেন, আমি সেখান থেকে ধান বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমার কথার গুরুত্ব দেননি।

এদিকে শ্রেণিকক্ষে ধান মজুদ রাখার বিষয়টি শুরুতে অস্বীকার করলেও পরে বৈরী আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক মজমুল হক বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কিছু ধান রেখেছি। এটি সারাবছরের জন্য নয়। আমি তা সরিয়ে নিব।

রংপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। তবে এ অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর নাহার বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ কেউ নিজের সাংসারিক কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।