লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সৎপিতা জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎবাবাকে গ্রেফতার করেছে কমল নগর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকালে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা নামক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। জানা যায় কিশোরীর ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তির নাম মো. মিলাদ। তিনি সোনাইমুড়ি এলাকার নুরুল হকের ছেলে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্র ঁথেকে জানা যায়, গত তিন বছর আগে কিশোরীর মায়ের (স্বামী পরিত্যক্তা) সঙ্গে মিলাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে মিলাদ শবশুর বাড়ীতে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করে আসছেন।
গত বুধবার ১১ মে সকালে কিশোরীর মা মেয়েকে ঘরে রেখে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে সৎবাবা জুসের সঙ্গে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। পরে কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে পান্ড পিতা রাতভর তকে ধর্ষণ করেন।
এই ধর্ষণের চিত্রটি মিলাদ মোবাইলে ধারণ করেন । এই ঘটনা সকালে বিষয়টি জানতে পারেন কিশোরীর মামি। তিনি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে কমলনগর থানা পুলিশ গিয়ে মিলাদকে আটক করে।
কিশোরীর খালা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর আমার ভাগনি নির্যাতনের শিকার কিশোরী দরজা খোলে। কিন্তু সে বস্ত্রহীন অবস্থায় ছিল। খালা বিবস্রের কারন জিজ্ঞেস করলে সে বলে সৎবাবা তাকে ধর্ষন করেছে। এর আগেও লম্পট মিলাদ আমার বড় ভাগনিকেও যৌন হয়রানি করেছে একাধিকবার । কিন্তু তার নির্যাতন ও লোক লজ্জার ভয়ে আমার বোন তা কাহারো কাছে প্রকাশ করেনি।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্হা নেয়া হবে। এখন বিষয়ে কিশোরীর ভাইয়ের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তাকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।