ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪ |

EN

ট্রিপল মার্ডার : ৩ জনের আমৃত্যু, যাবজ্জীবন ৮

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, মে ১১, ২০২২

ট্রিপল মার্ডার : ৩ জনের আমৃত্যু, যাবজ্জীবন ৮
কুষ্টিয়ায় এলজিইডির গেটের ভেতরে তিন জনের কাটা মাথা পাওয়া ও মাঠে মাথাবিহীন শরীর পাওয়ায় সেই লোমহর্ষক আলোচিত হত্যাকাণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে নিষিদ্ধ জাসদ গণবাহিনীর ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ১১ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। কয়েকজন খালাসপ্রাপ্ত ছাড়া বাকি দণ্ডপ্রাপ্ত অধিকাংশ আসামিরা পলাতক রয়েছে।

মামলা ও রায় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট সকালে কুষ্টিয়া শহরে সরকারি এলজিইডি ও গণপূর্ত অফিসের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো তিন জনের কাটা মাথা পাওয়া যায়। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার সোনাইডাঙ্গা গ্রামে মাঠের মধ্যে মুচার পুকুরে ওই তিন জনের মাথাবিহীন শরীর পাওয়া যায়।

এরা হলো শামসুজ্জামান জোহা, কাইয়ুম সাখাওয়াতি ও আইয়ুব আলী। এদের বাড়ি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকায়। কাইয়ুম সাখাওয়াতির ছোট ভাই আব্দুল হাই অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

তিনি বলেন, আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে আমৃত্যু ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ১১ জনকে খালাস দেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, কালু ওরফে কফিল উদ্দিন ওরফে বুলবুল পশ্চিম আব্দালপুরের ইছাহক আলী মাস্টারের ছেলে, ফারুক সরদার ওরফে বড় ফারুক পুলতা ডাঙ্গার আসকার সরদারের ছেলে ও রোহান শহরের আড়ুয়া পাড়ার মজনুর ছেলে। প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন আদালত।

যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন, ফারুক মণ্ডল ওরফে ছোট ফারুক, আলতাফ মেম্বর, লিয়াকত হোসেন, মনোয়ার হোসেন মনো, আকামউদ্দিন, জমির উদ্দিন জোয়ারদার, নুরুল ওরফে নূরাল, খাকচার মণ্ডল ওরফে ছোট কালু। প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন আদালত।