"আজি হতে শতর্বষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
শত কৌতুহল ভরে"
এক’শ বছরেরও বেশি আগে বাঙালি পাঠকদের প্রতি এই জিজ্ঞাসা ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। সেই চিরজাগরুক, বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ৮ মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
আজ কবিগুরুর ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সত্য প্রেম ও পবিত্রতার ধারক ও বাহক সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরণ গান ও কবিতার মাধ্যমে কবিকে স্মরণ করেছে।
সকাল ১১:৩০ মিনিটে উত্তরণের নিজস্ব কার্যালয়ে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি জুবায়ের হোসেন শাহেদ বলেন "কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাসমূহ প্রাণের সঞ্চার করে। আমাদের প্রতিটি সংগ্রামেই শুধু নয়, কবির চিরায়ত রচনাসমগ্র আজীবন স্বরণের শীর্ষতায় আবিষ্ট হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও প্রেরণা যুগিয়েছিল তার অনেক গান।"
সাধারন সম্পাদক শাকিল আহমেদ জানান "ঈদুল ফিতরে ছুটি শেষ হয়েছে মাত্র, তাই ক্ষুদ্র পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে,পরবর্তীতে আরও বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীততে উত্তরণের প্রত্যাশা রবি ঠাকুরকে নিয়ে আরও গবেষনা হোক,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সবাই রবী ঠাকুরকে স্মরণ করুক প্রত্যেক মুহুর্তে।
অনুষ্ঠানে সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন উত্তরণ সদস্য মো:শাহেদ,মো:শাকিল,মো:মাসুম,জায়েদ,চন্দ্রিমা, প্রজ্ঞা, নুসরাত।