ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পুনর্মিলনী উৎসব

বগুড়া প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, মে ৬, ২০২২

বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পুনর্মিলনী উৎসব
বন্ধুরা যদিও ২১ বছরে নাগরিক জীবনে ব্যস্ত সবাই নিজস্ব জীবন সংগ্রাম নিয়ে। কিন্তু জীবন মানেই আনন্দ, জীবন মানেই আড্ডা ভালোবাসার সুযোগ। আর সেই ভালোবাসার সবটা জুড়ে থাকে বন্ধুর দল। বন্ধু মানেই স্কুল পালানো এক দল দুরন্ত কিশোর কিশোরী আড্ডায় মেতে উঠা। পথ চলতে চলতে মানুষের জীবনে অনেকের সাথেই বন্ধুত্ব হয়! কিন্তু স্কুলের বন্ধুদের সাথে তার তুলনা চলে না। 

"স্মৃতির টানে প্রিয় প্রাঙ্গনে, এসো মিলি প্রাণের বন্ধনে, বিভেদ নয় ঐক্য বন্ধুত্ব মোদের লক্ষ্য" এই স্লোগানে (৫ মে) বৃহস্পতিবার চোপীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০১ সালের  ব্যাচের ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহনে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাপক আনন্দ, উদ্দীপনা ও হৈ-হুল্লোরের মধ্য দিয়ে এই ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চোপীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ কিসমতুল্যাহ শাহ। স্কুলের বন্ধু মানেই  অন্ধকারে একজন বন্ধুর সঙ্গে হাঁটা আলোতে একা হাঁটার চেয়ে ভালো। 

নতুন দিনের ডাক এসেছে ২১ বছর পেরিয়ে, চলোমাতি উচ্ছ্বাসে ফিরে যাই কৈশোরে চোপীনগর উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আয়োজনে প্রাক্তন ২০০১ সালের ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে হয়ে গেল পুনর্মিলনী উৎসব। 

দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সবার পরিচয় পর্ব, স্মৃতিচারণ, অতিথিদের বক্তব্য, মধ্যাহ্নভোজ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বর্তমান শিক্ষক, সভাপতি ও এস এস সি ২০০১ সালের ব্যাচের সকল ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উঁকি দেয়া জ্বলমলে রোদ, তার সঙ্গে বাড়ে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি। বেলা ১১ টায় স্কুল ক্যাম্পাসে তখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে থাকে। পুরনো সহপাঠীদের কাছে পেয়ে গল্প, আড্ডা, গান, নাচ ও ছবি তোলায় মেতে উঠে সবাই। ২০০১ ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয় এই পুনর্মিলনী উৎসবে। তাতে বাদ পড়েনি এস এস সি দিবে অংশ নিবে এমন ছেলে মেয়ের বাবা মায়েরাও । আড্ডা ও সেলফিতে মেতে উঠে তারাও। তারা জানান, দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের এক সঙ্গে পাওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। স্কুলে এসে সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বর্তমান প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকা ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বলেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি এই প্রথম এতো আয়োজন ও বড় পরিসরে হওয়ায় আমরা ২০০১ সালের ব্যাচের সকল ছাত্র ছাত্রীদের অভিনন্দন ও শুভ কামনা করেন এবং যারা এ অনুষ্ঠানটি পূর্ণ রূপ দিয়েছেন চোপীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাণ ফিরে এনেছে আমি তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।